সবাই নিজের সন্তানের জন্য এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে একজন অভিভাবক ভালো ফিডব্যাক পাবে, শিক্ষকদের সাথে তার সন্তানের ভালো মন্দ বিষয় গুলি পরামর্শ করতে পারবে এবং দিনশেষে তার প্রিয় সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
ফাইয়াজ স্কুল এন্ড কলেজ হতে পারে আপনার ভরশার যায়গা। কারণ ফাইয়াজ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া এবং নিয়ম শৃঙ্খলার বিষয়ে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়।
একটি প্রতিষ্ঠানের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ। যাদের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠান অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সেবাটি নিশ্চিত করতে পারে। ফাইয়াজ স্কুল এন্ড কলেজও এই দিক দিয়ে খুবই শক্ত অবস্থানে থেকে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে থাকে।
যেখানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষকের পারদর্শীতা এবং অভিজ্ঞতা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। বলা জরুরি যে ফাইয়াজ স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কোনওরূপ সুপারিশ বা বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যাতে করে আমরা বলতে পারি আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং পারদর্শী।
শিক্ষার মান অক্ষুন্ন রাখাই ফাইয়াজের একমাত্র উদ্দেশ্যে। এই মানকে ধরে রাখতে ফাইয়াজ কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। উদাহরণ সরুপ প্রতি সপ্তাহে আয়োজিত টিচার্স ডেভেলপমেন্টাল প্রোগ্রাম, আলো বাতাস সমৃদ্ধ রুচিশীল ক্লাসরুম।
আরও জানুন: বাংলাদেশে আবাসিক বিদ্যালয়ের গুরুত্ব | Importance of Residential Schools in Bangladesh
যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের সুন্দর পরিবেশ খুজে পায়। শিক্ষার মান ধরে রাখার আরেকটি উত্তম পন্থা হল নিয়মিত শিক্ষার্থী মুল্যায়ন। বছরে আমাদের একটি শিক্ষার্থীকে মোট ৬ টি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। সবগুলো পরিক্ষাতেই পরিক্ষা হলের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবং পরিক্ষার খাতা সুনিপুণ ভাবে মুল্যায়ন করা হয়।
মূল্যায়নের পর প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষক গণ আমাদের স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ারে ইনপুট দেন। এবং সয়ংক্রিয় ভাবে একজন শিক্ষার্থীর সকল বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে একটি নির্ভুল রেজাল্ট তৈরি হয়ে আসে।
পাঠ্যক্রমের বাহিরেও আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ দূর করার উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার শক্তি সামর্থ্য অর্জন করে এবং পড়ালেখায় হয় আরও উদ্দ্যমী।
শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। তাই একজন শিক্ষার্থীর শৃঙ্খলা শেখা নিতান্তই জরুরি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট শৃঙ্খল এবং নিয়মানুবর্তী।
সঠিক ইউনিফর্ম, সময়মত স্কুলে উপস্থিত হওয়া, নিয়মিত সমাবেশ, প্যারেড, কাব দল, স্কাউট, গার্লস গাইড, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অভ্যাস অর্জন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থী হয়ে ওঠে শৃঙ্খল এবং মার্জিত চিন্তার অধিকারী।
আরও জানুন: বাংলাদেশের সেরা রেসিডেনসিয়াল স্কুল | Faiyaz School and College, Rangpur
ফাইয়াজের আবাসিক ব্যাবস্থা সর্বমহলে প্রসংশিত এবং আলোচিত। আবাসিক কর্তৃপক্ষ সবসময় পরিমিত আসনে আবাসিক শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে থাকে। Quantity নয়, Quality ধরে রাখাই ফাইয়াজের মূল লক্ষ্য।
পরিচ্ছন্ন আবাসিক, নিরিবিলি পরিবেশ, সাস্থ্যকর ডাইনিং এবং পুষ্টিকর খাবার মান, টেলিভিশন দেখা,শীতকালে গরম পানির সুবিধা,প্রতিষ্ঠানেই নরসুন্দরের দারা আবাসিক শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ব্যাবস্থা, সার্বোক্ষনিক আবাসিক গাইড টিচার, সন্ধ্যাকালীন ক্লাস, স্কুল ক্যান্টিন, সার্বোক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, খেলার মাঠ , ইনডোর গেমস, আবাসিক সহ পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতাধীন।
আবাসিক সহ পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকায় একজন শিক্ষার্থীর উপর নজরদারি ও তাদের অপরাধ নির্ণয় হয় সহজতর। এতে করে সকল শিক্ষার্থী তুলনামূলক কম অপরাধপ্রবণ হয় এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় হয় আরও আগ্রহী।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের পুষ্টি এবং খাবারের মান অক্ষুন্ন রাখতে কীটনাশক/ভেজাল বিহীন খাবার পরিবেশন করা হয়। শাকসবজি, মাংস , মাছ সহ বিভিন্ন উৎপাদন যোগ্য ফসল ফাইয়াজের নিজস্ব খামারেই উৎপাদন করা হয়।
একজন আবাসিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে ফাইয়াজের আবাসিক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে থাকে।
প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসেই রয়েছে মসজিদঘর। আবাসিকের প্রত্যেক মুসলিম শিক্ষার্থীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারে মোটিভেশন এবং অভ্যস্ত করে তোলা হয়। এছাড়াও সপ্তাহে দু'দিন রয়েছে কুরআন শিক্ষা ক্লাসের ব্যাবস্থা। কুরআন শিক্ষা ক্লাসের মাধ্যমে এখানে একজন শিক্ষার্থী কুরআন শরীফ পড়া এবং নামাজ শেখার সুযোগ পায়।
একজন অভিভাবক তার সন্তানকে আবাসিকে রেখে অনেকেই তার পড়াশুনার খবর ঠিক ঠাক নিতে পারেন না। কিন্তু আমরা প্রতিমাসেই একজন শিক্ষার্থীর আবাসিক এবং ক্লাসের পারফরম্যান্সের একটি প্রতিবেদন তৈরি করে থাকি।
যেই প্রতিবেদনে সেই শিক্ষার্থীর সম্পর্কে তার সকল বিষয় শিক্ষক, গাইড টিচার এবং আবাসিক তত্তাবধায়ক মন্তব্য প্রদান করে থাকে। এতে করে সেই শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সম্পর্কে আবাসিক তত্তাবধায়ক ও অভিভাবক স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারে।